১নং সোনামুখী ইউনিয়নের ইতিহাস
ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সবচেয়ে পুরনো প্রতিষ্ঠান। প্রাচীনকালের পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ আমলে ১৮৭০ সালে রাজনৈতিক, আইন-শৃঙ্খলা ও রাজস্ব আদায়ে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ৩ বছর মেয়াদি ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ ‘চৌকিদারি পঞ্চায়েত’ যাত্রা শুর করে। এরপর ১৮৮৫ সালে ‘বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত আইন’-এর মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি ৫-৯ জন সদস্য নিয়ে ‘ইউনিয়ন কমিটি’ গঠন করা হয়। ১৯১৯ সালে ‘বঙ্গীয় গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসিত আইন’-এর মাধ্যমে ৬-৯ সদস্য বিশিষ্ট ‘ইউনিয়ন বোর্ড’ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পাকিস্থান আমলে ১৯৫৯ সালে মৌলিক গনতন্ত্র আদেশ জারি করে ১০-১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয় ‘ইউনিয়ন কাউন্সিল।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে ত্রান ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালে ১০-১৩ জন সদস্য নিয়ে গঠিত ‘ইউনিয়ন পঞ্চায়েত’ দায়িত্ব পালন করে। এরপর ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে ১১ জন সদস্য নিয়ে ৩ বছর মেয়াদি ইউনিয়ন পরিষদের যাত্রা শুরম্ন হয়। পরে ১৯৮৩ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ জারি করে ৫ বছর মেয়াদি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীণ এলাকায় সুশাসন বা মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ জীবনের মান উন্নয়ন, মানবাধিকার সংরক্ষন, প্রশাসন, আইন-শৃংখলা ও গনতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরম্নত্বপূর্ণ ভহমিকা পালন করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের এমন একটি প্রশাসনিক কাঠামো যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব সহায়তা সরাসরি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছায়।
প্রথম চেয়ারম্যান মরহুম আ: জলিল চেয়ারম্যান হন। তবে অত্র ইউনিয়নের ইতিকথা/কত সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে তার নির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। সোনামুখী ইউনিয়ন সিরাজগঞ্জ জেলার উত্তর পশ্চিম শেষ প্রান্তে অবস্থিত । এ ইউনিয়ন টি অত্যান্ত জনবহুল একটি ইউনিয়ন । এ ইউনিয়নের শিক্ষার হার শত করা ৬৮% । এ ইউনিয়নে দরিদ্র লোকের সংখ্যা বেশি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস